প্ররম্ভিকতাঃ
- বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট্ট দেশ [পৃথিবীর মানচিত্রে যাকে খুঁজে পাওয়া ভার]
- বিশ্বব্যাপী ইসলামী সমাজ বিনির্মানের পদক্ষেপ হিসেবে আমরা সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্য নিয়োজিত করবো [সংবিধানের 'সেহেতু' অংশের তিন. এ বলা হয়েছে]
- Democracy 'র Beauty হলো এখানে নানা মতপার্থক্যের থাকবে। এক্ষেত্রে দেশীয় স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে আমাদের সবাইকে বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করা উচিত।
- আগামীর গোটা পৃথিবী মতে ইসলামের পুনর্জাগরণ অবশ্যম্ভাবী।
[Western civilization is the last page of human history]
[Islam will demand with same tamendus and history, and it will demand 1500 year before]
বাংলাদেশে ইসলামের সম্ভাবনাঃ
- বাংলাদেশ একটি নিরঙ্কুশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
- সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনসংখ্যার ৯২ শতাংশ মুসলমান।
- দেশে রয়েছেন লাখ লাখ আলেম-ওলামা ও তিন লাখ মসজিদ।
- দেশে আলিয়া মাদরাসার সংখ্যা আনুমানিক ১৮ হাজার।
- কওমি মাদরাসার সংখ্যা ১৯ হাজার ১৯৯টি।
- মাজার, খানকাহ ও অন্যান্য ইসলামী প্রতিষ্ঠানে ভরপুর এ দেশ।
- মসজিদে বিশেষত শুক্রবারে মুসল্লিতে ভরে যায়।
- পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ তবলিগ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবছর বাংলাদেশে।
- বাংলাদেশের সাথে এই অঞ্চলের একাধিক দেশের ইসলামী বিপ্লব জড়িত [বাংলাদেশ > মালয়েশিয়া > ব্রুনাই > মরোক্কো > ইন্দোনেশিয়া]
- সেজন্যই এই দেশের ইসলামী শক্তির উত্থান নিয়ে সকলের মাথা ব্যাথা।
- ভারতের আমাদেরকে প্রয়োজন। ৪তারা এদেশে ঘনিষ্ঠ মিত্র সরকার চায়;
প্রথমত এদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি;
দ্বিতীয়ত এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবেলা;
তৃতীয়ত দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের মিত্রের অভাব
চতুর্থত ইতিমধ্যে ভারতের যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ হয়েছে তা রক্ষা করা।
বাংলাদেশের রাজনীতিঃ
- ২০০০ সালের মধ্যভাগ থেকে রাজনীতিতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বাঁকপরিবর্তন ঘটে।
- ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়ে যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়, তার সমাপ্তি ঘটে একটি হিংসাত্মক অঘটনের মাধ্যমে।
- ২৮ অক্টোবর রাজপথে লগি-বৈঠার তাণ্ডব ঘটে। এ অরাজকতা ও অস্থিরতার পথ ধরে সেনাবাহিনী সমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম হয়।
- তিন মাসের জায়গায় তাদের শাসন দীর্ঘায়িত হয় দু’বছর। এটির উৎসমূলে ছিল একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র।
- দূরের সাম্রাজ্যবাদ এবং কাছের সম্প্রসারণবাদ তাদের বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থে একমত হয় যে, বিএনপি-জামায়াত সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না।
- অস্বাভাবিক পথে ১/১১ ঘটনাবলীকে স্বাগত জানায়।
- ভারতীয় গবেষণা জার্নালে সেনাসমর্থিত সরকারকে ‘গণতন্ত্রের পরিচর্যাকারী’ বলে পরিচয় দেওয়া হয়।
- ‘ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন’ এ ত্রয়ী দু’বছরে গোপনে এবং প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; বিশেষত ভারতের সাথে এমনসব চুক্তি ও সমঝোতায় পৌঁছে, যা হয়ে দাঁড়ায় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণের নিয়ামক।
- ১/১১ এর সরকারের নির্দেশিত ব্যতিক্রমী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সরকারের ভরাডুবি ঘটে।
- ভারতীয় এজেন্সিগুলো বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত তথ্য দেয়।
- বিএনপি-জামায়াতের সময়কালে ভারতের রাষ্ট্রপতি মনমোহন সিং যখন বাংলাদেশ সফর করেন, তখন ২৫ শতাংশ লোক বাংলাদেশে জামায়াত করে এরকম অসত্য তথ্য দেওয়া হয়।
- তখন পাশ্চাত্যের তরফ থেকে আরও তথ্য দেওয়া হয় যে, আফগানিস্তানের পরে ইসলামী সরকারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে।
- রাজপথে স্লোগান দেওয়া হয় ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান’।
- এর আগেও ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ এবং ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীরা তাদের লেখনী, গবেষণা ও তথ্য-উপাত্ত দিয়ে পাশ্চাত্যকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হন বাংলাদেশে সত্যি সত্যিই তালেবান বিপ্লব ঘটবে।
- বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বা সম্ভাব্য ইসলামী বিপ্লবের ক্ষেত্রভূমি প্রমাণ করার জন্য তারা চৌষট্টি জেলার তেষট্টিটিতে পটকা ফোটায়। এ পটকাকে বিরোধী গণমাধ্যম রূপরস গন্ধ দিয়ে পারলে ‘পারমাণবিক বোমা’ বানায়।
- জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে কওমি ঘরানার ধারণা ভালো নয়। মাজার ও পীরপন্থীরাও তাদের বিপরীত।
- বিদেশী এজেন্সিগুলোর প্রত্যক্ষ অর্থে এবং পরোক্ষ তৎপরতায় জামায়াতবিরোধী সকল ইসলামী দল ও গ্রুপকে একত্রিত করা হয়। গঠিত হয় তরীকত ফেডারেশন এবং ইসলামী মোর্চা।
- কোল্ড ওয়ারের সময় মার্কিনীরা সমাজতন্ত্রকে ঠেকানোর জন্য সমাজতন্ত্রকেই ব্যবহার করে। এ কৌশল ‘এ রেড ফ্লাগ অপোজ টু এ রেড ফ্লাগ’ বলে কথিত।
- বাংলা ভাই ও শায়খ আবদুর রহমান তথা জেএমবি গাজীপুরে ও ঝালকাঠিতে অঘটন ঘটানো।
- ফলে বিএনপি-জামায়াত সরকারের শুধু পরাজয়ই ঘটে না, বরং তারা দীর্ঘ ভবিষ্যতের জন্য ক্ষমতাসীনদের আক্রোশ ও আক্রমণের শিকারে পরিণত হয়।
- ১/১১-এর বিয়োগান্তক ঘটনাবলীর পর আওয়ামী লীগ যখন শক্তপোক্ত হয়ে ক্ষমতায় বসে, তখন তারা পূর্বনির্ধারিত নীলনকশা অনুযায়ী অগ্রসর হয়।
- নেতৃবৃন্দের রায়, শাহবাগ, নাস্তিক ব্লগার, হেফাজতের শপলা চত্বর, কওমি জননী
- বরাবরের মতো সরকার অনুসৃত স্টিক এন্ড ক্যারট পলিসি বা লাঠি ও লোভের কূটকৌশল অবলম্বন করে।
- এভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ইসলামী বিপ্লবের অবসান ঘটে।
- ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঘটে দু’ধরনের সমীকরণ।
- খালেছ ও দীনি ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামীবিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়।- ইসলামের নামে ইসলামের বিরোধিতাকারী অংশটি হাত মেলায় শাসকদলের সাথে।
- অর্থ ও অনর্থের বিনিময়ে এসব দলগুলো ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
- ইসলামপন্থী বলে কথিত ছটি নিবন্ধিত দল এবারের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। দলগুলো হলো বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন এবং জাকের পার্টি।
ইসলামী শক্তির প্রভাবঃ
- বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী।
- প্রধান বলার কারণ হলো ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তারা ১৮টি আসন পায়।
- বিএনপি তাদের সমর্থনে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তাদের পরোক্ষ সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করে।
- ২০০১ সালের নির্বাচনের পর তারা সরকারের অংশীদার হয়ে দাঁড়ায়।
- জনসমর্থন, সাংগঠনিক দৃঢ়তা, শৃঙ্খলা ও আদর্শবাদিতার জন্য তারা জনগণের মাঝে একটি স্থায়ী আসন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। - এ কারণেই তারা আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়েছে।
- এ সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং সক্রিয় ইসলামী দল চরমোনাই পীর সাহেবের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন।
- হাফেজ্জি হুজুরের ধারাবাহিকতায় কওমি ঘরানার এ রাজনৈতিক সংগঠনটি তাদের সহজ-সরল এবং কৌশলগত অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। - দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকা তৈরি হয়েছে।
- সংগঠনটির সাথে সরকারের তলে তলে বোঝাপড়া আছে এরকম অভিযোগ নাকচ হয়ে যায় তখন, যখন এর দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব আওয়ামী গুণ্ডাদের হাতে অপদস্থ হন।
- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে নিজস্ব ধারায় কর্মসূচি পালন করছে তারা।
- ইসলামী আন্দোলন বিএনপির সাথে সরকার পতন আন্দোলনে শামিল রয়েছে।
- ইসলামপন্থী এ দুটি প্রধান দলের বাইরে রয়েছে আরও অনেক দল।
- খেলাফত মজলিস তাদের অন্যতম। কওমি ঘরানা ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মহলে তাদের অল্প বিস্তর সমর্থন আছে।
- অপরদিকে হাফেজ্জি হুজুর প্রতিষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলনও উল্লেখযোগ্য ছিল। এখন তার ছেলে আতাউল্লাহ হাফেজ্জি এ দলের আমীর।
- এই দলের অপর অংশের নেতৃত্বে ছিলেন হুজুরের জামাতা মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এখন তার ছেলে আবুল হাসনাত আমিনী এ দলের চেয়ারম্যান।
- রাজনৈতিক দল হিসেবে আদর্শিক দৃষ্টিতে দেখলে কওমি ঘরানা অনেক সমর্থনপুষ্ট। এগুলো হলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন ইত্যাদি। - তবে এদের এতো বিভক্তি ও বিভাজন যে, হিসাব-নিকাশ নেওয়া বড়ই কঠিন। এদের এক একটি ঘরানার ব্যক্তিত্বের এক একটি রাজনৈতিক দল।
রাজনীতিতে ইসলামী শক্তির চ্যালেঞ্জঃ
- সমাজ, রাষ্ট্রে ও ব্যবহারিক জীবনে ইসলামের কোনো প্রতিফলন নেই।
- পাশ্চাত্যে যখন বড় দিনে ডিসকাউন্ট এর প্রতিযোগিতা শুরু হয়, তখন আমাদের মুসলিম ব্যবসায়ীরা রমজান ও ঈদে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াতে বাড়াতে আকাশে তোলে।
- এই যদি হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসল্লিপ্রবণ জনসমাজের অবস্থা, তখন হতাশ না হয়ে উপায় নেই।
- অর্থাৎ ধর্ম তাদের মর্মে পৌঁছেনি। শুধুই পোশাক। শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
- লাখ লাখ আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখের ইসলামকে অন্য ধর্মের মতোই শুধুই ধর্ম বলে ধারণা করা।
- তারা একরকম নীরব, নিঃসঙ্গ ও নিস্পৃহ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
- এর কারণ ব্রিটিশ প্রভুরা শিখিয়েছে ধর্ম এবং রাজনীতি ভিন্ন জিনিস।
- ইংরেজরা ১৮৮৭ সালে মুসলমানদের প্রতি ‘দয়াপরবশ’ হয়ে আলিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সেখানে পাঠ্যসূচি তারাই প্রণয়ন করত।
ক) বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জঃ
- ইসলামোফোবিয়া
- ইসলামপন্থীদের সন্ত্রাসী চিহ্নিত করা
- ইসলামপন্থীদের দমন নিপিড়ন
- সম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসী নীতি
- জায়োনিজম
- আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ
- যুদ্ধ বাঁধানো ও অস্ত্র বিক্রি
- মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ
- তথ্য প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ
খ) দেশীয় চ্যালেঞ্জঃ
- ডি-ইসলামাইজেশন
- বিরাজনীতিকরণ (গনতন্ত্র হত্যা)
- জঙ্গিবাদের সমস্যা
- সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়া
- রাষ্ট্রীয় অন্তরায়
- সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা
- অর্থনৈতিক শোষন
- সাংস্কৃতিক গোলামী
গ) ধর্মীয় চ্যালেঞ্জঃ
- সুফীবাদ
- ধর্মীয় গোড়ামী
- ধর্মীয় গ্রুপিং
ঘ) আভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জঃ
- যোগ্য নেতৃত্বের অভাব
- দক্ষ জনবলের অভাব
- অর্থনৈতিক সমস্যা
- অপসংস্কৃতির প্রভাব
ইসলামী শক্তিগুলোর সম্ভাবনাঃ
- বাংলাদেশের জনজীবনের গহীন গভীরে যে ইসলামের আবেগ রয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
- মানুষ চায় ইসলাম অনুসরণ করতে। বিদআত ও বেশরিয়তি প্রতিষ্ঠানেও যখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ, তখন ইসলামের প্রতি তা ভালোবাসারই প্রমাণ দেয়।
- প্রয়োজন শুধুমাত্র ঈমানের এ চেতনা ও ভালোবাসাকে যথার্থ পথে পরিচালিত করা।
- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষকরা বলেন, কোনো দেশের জনসংখ্যার অন্তত তেত্রিশ ভাগ যদি সে ব্যবস্থা গ্রহণে রাজি থাকে, তা সফল হয়।
- আশার কথা শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা বেশ এগিয়ে গেছে।
- সকল ইসলামপন্থী রাজনৈতিক জনসমষ্টিকে যদি একত্র করা যায়, এখনই সে লক্ষ অর্জন করা সম্ভব।
- সকল ভেদাভেদ, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, ফেতনা-ফ্যাসাদ এবং সুবিধাবাদ অতিক্রম করে যদি সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল ইস্পাতকঠিন, দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে পারে, তবেই মনজিলে মাকসুদে পৌঁছা সম্ভব।
- বৈশ্বিক পরিস্থিতি ইসলামের দিকে
- এদেশের জনগন আধিপত্যবাদ বিরোধী
- অন্যান্য ইসলামিক দলের সাথে আমাদের দুরত্ব কমে আসছে।
- বাংলাদেশের জাগতিক সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক সংকট আছে
এক্ষেত্রে আমাদের করণীয়ঃ
- দাওয়াত সম্প্রসারণ (ইখওয়ান)
- ইসলামী সংগঠনগুলোর মজবুতি
- জ্ঞান,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষতা
- ইসলামী থিংক ট্যাংক
- আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক সম্পর্ক
- বিভিন্ন মানবাধিকার কমিশনের সাথে সম্পর্ক
- সেবা কার্যক্রম বৃদ্ধি (আন নাহদা, একে পার্টি)
- ধর্মীয় বিতর্ক এড়িয়ে চলা
- আদর্শিক বন্ধু বৃদ্ধি
- সেক্টরভিত্তিক লোক তৈরি