সংগঠন পরিচালনায় আমাদের করণীয়

 ✔চারটি কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবেঃ

১. ইসলামী আন্দোলন করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ

২. জামায়াতে ইসলামীর মৌলিক বিষয় মনে রাখতে হবে: উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, আকীদা, ৩দফা দাওয়াত, ৪দফা কর্মসূচি, স্থায়ী কর্মনীতি

৩. জনশক্তির স্তর বিন্যাসের ব্যাখ্যা জানা: সহযোগী, সক্রিয় সহযোগী, কর্মী, অগ্রসর কর্মী, রুকনপ্রার্থী, রুকন

৪. সাংগঠনিক কাঠামো: দাওয়াতি ইউনিট, ইউনিট, ওয়ার্ড, সংগঠিত ওয়ার্ড, সংগঠিত ইউনিয়ন, ওয়ার্ড/ইউনিয়ন এমারত, ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কর্মপরিষদ, ওয়ার্ড/ইউনিয়ন শূরা, উপজেলা/থানা, জেলা, অঞ্চল, কেন্দ্র


✔অগ্রসর কর্মীর বৈশিষ্ট্য:

কর্মীর ৫ কাজের পাশাপাশি ৩টি গুণ থাকবে:

- ডাকলেই সাড়া দেয়।

- বৈঠক মিস করেন না, দেরি করেন না, আগে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন না।

- আনুগত্যশীল হওয়া।


✔রুকনপ্রার্থীর কাজ ৩টি:

- তিনি নিজেকে আল্লাহর কাছে বিক্রি মনে করেন কিনা?

- সংগঠনের কাছে নিজেকে সোপর্দ করা।

- রুকনিয়াতের শর্ত পূরণে তৎপর।


✔রুকন করার শর্তঃ

পুরুষদের ৪২টি

মহিলাদের ৩৭টি


✔রুকনদের কাজঃ

- আল্লাহর কাছে বিক্রিলব্ধ মনে করা

- রুকনদের যাছাইয়ের জন্য ৯নং ধারার ১০টি শর্ত মানা।

- বছরে একবার রুকন সিলেবাস পড়া।

- রিপোর্টে রুকনদের যে আদর্শ মান দেয়া আছে তা রক্ষা করা।


✔সংগঠন সম্প্রসারণে ৭টি কাজঃ

- দায়িত্বরত এলাকায় ব্যাপক সহযোগী থাকা।

- ইউনিট ও দাওয়াত ইউনিট জালের মত ছড়িয়ে পড়া (মসজিদ, পাড়া, ভবন কেন্দ্রীক)

- ছাত্র, ছাত্রী, শ্রমিক কল্যাণ, IBWF, শিক্ষক ফেডারেশন, যুব, উলামা ইউনিট থাকা।

- আমাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠান থাকা অথবা প্রতিষ্ঠিত সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আমাদের লোক থাকা।

- কমপক্ষে প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি প্রতিষ্ঠিত মসজিদ থাকা।

- প্রত্যেক ওয়ার্ডে সংগ্রাম, সোনার বাংলা পড়ার ব্যবস্থা রাখা।

- ওয়ার্ড মেম্বার/কাউন্সিলর, ইউনিয়ন/পৌর চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকা।


✔মজবুতির শর্তঃ

- জনশক্তির অনুপাত হবে, রুকনঃ কর্মী = ১ঃ১০

- ওয়ার্ড/ইউনিয়ন এমারত, কর্মপরিষদ ও শূরা থাকবে।

- প্রত্যেক ওয়ার্ড/ইউনিয়নে ৩টি পুরুষ ইউনিট, ৩টি মহিলা ইউনিট থাকবে।

- প্রত্যেক ওয়ার্ড/ইউনিয়নে টিম থাকবে, মাসিক বৈঠক চালু থাকবে।

- কর্মীরা ৫ শর্ত পূরণকারী হবে। 

- ব্যয় অনুযায়ী আয় হবে এবং সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করবে।

- সহযোগী সহযোগী সদস্য হবে মোট জনগনের ৫১% এবং ৭৫% কে দাওয়াত দিতে হবে।

- সহযোগী বৃদ্ধির জন্য ৫টি কাজ: জনশক্তিদের টার্গেট নির্ধারণ, দাওয়াতি গ্রুপ চালু রাখা, সাধারণ সভা, কেন্দ্র/জেলা ঘোষিত দা. অভিযান পালন করা (যতদিনের অভিযান দেয়া হয় প্রত্যেকে অন্তত ততবার বের হওয়া), উপস্থিত ক্ষেত্রে সহযোগী সদস্য বানানো চালু থাকা।

- বই পত্রিকা পড়ার জন্য পাঠাগার থাকবে, ওয়ার্ডে সংগ্রাম ও ইউনিটে সোনার বাংলা সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।

- ডাক দিলে জনশক্তি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে।

- পরামর্শ ও সংশোধনীর জন্য পরিবেশ থাকবে।

- সযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নেতা ও আনুগত্যশীল কর্মী থাকবে। 

- সংগঠন পদ্ধতির সূচিপত্র অনুযায়ী বিভিন্ন বৈঠক চলবে।

- বৈঠক করে তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট করবে, রিপোর্ট ও নেসাব বৈঠকে জমা দেয়া, এক কপি নিজের কাছে ফাইলে সংরক্ষণ করবে।

- ওয়ার্ড/ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের আয়োজন করবে (আ.চক্র, টিসি/টিএস)


✔সম্পরসারণ ও মজবুতি অর্জনে করণীয়ঃ

- প্রতিমাসে অধীনস্থদের ব্যক্তিগত রিপোর্ট দেখা, পরামর্শ লেখা ও স্বাক্ষর করা।

- ওয়ার্ড/ইউনিয়ন/ইউনিটের প্রত্যেক দায়িত্বশীল ৪-১০ জনের ইয়ানত উঠাবেন।

- কর্মী, সক্রিয় সহযোগী সবার কাছে তাফহীম, হাদীস ও সাহিত্য পোঁছাতে হবে।

- প্রত্যেক কর্মীকে দাওয়াতি টার্গেট ও কর্মী টার্গেট নিতে বাধ্য করতে হবে। (রিপোর্ট বইয়ের ১১-১২ পৃষ্ঠায় টার্গেট সাক্ষাতে কি বলবে লিখা আছে)

- জনশক্তিদের কর্মী যোগাযোগ ও আত্মসমালোচনা নিয়ম অনুসরণ করা শিখানো। (সংগঠণ পদ্ধতির৩৪ পৃষ্ঠায় যোগাযোগের নিয়ম ও রিপোর্ট বইয়ের ২১ পূষ্ঠায় আত্মসমালোচনার নিয়ম লিখা আছে)

- প্রত্যেক কর্মীকে পারিবারিক ইউনিট ও পারিবারিক বৈঠক চালু করতে হবে।

- এলাকার ছাত্র, ছাত্রী ও মহিলাদের খোঁজ খবর নেয়া।

- সহযোগী সদস্য, কর্মী তালিকা খাতায় সংরক্ষণ করা।

- অফিস ফাইল, রেজিস্টার, তথ্য তালিকা সংরক্ষণ ও হিসাব নিকাশ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা।

- আত্মবিশ্বাস, আল্লাহর প্রতি ভরসা থাকতে হবে এবং ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করতে হবে।

সর্বশেষ পোস্ট

যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাস

ভূমিকা: ইসলামী আন্দোলন শুধু যুগ যুগ ধরে নয়। এ আন্দোলন শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে। এ আন্দোলন হাজার বছরের আন্দোলন। ঈসা আঃ এর আগমনের প্রায় ৬০০ বছ...

জনপ্রিয় পোস্ট